,

খাবারে বিষক্রিয়া রোধে…

সময় ডেস্ক : সঠিক নিয়মে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রস্তুত না করলে খাদ্যসামগ্রী থেকে হতে পারে বিভিন্ন রোগব্যাধি। কখনো বিভিন্ন রকম জীবাণুর সংক্রমণে, খাবারের বিষাক্ত উপাদানের কারণে বা সঠিক নিয়মে না খেলে ডায়রিয়া, বমি, জন্ডিস, জ্বর, পেটব্যথা, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এমনকি এ থেকে প্যারালাইসিসও হতে পারে।
বাজার থেকে শাকসবজি ও ফল বাড়িতে এনে আগে ট্যাপের বহমান পানিতে ভালোভাবে ধুতে হবে। গাজর, বিট, শালগম, আলুর মতো শক্ত সবজির গায়ে ব্রাশ ব্যবহার করলে ময়লার সঙ্গে জীবাণু দূর হবে। তাজা ফল বা শাকসবজিতে জীবাণুনাশক, ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
মাছ-মাংস বাজার থেকে আনার পর ভালোভাবে ধুয়ে যত দ্রুত সম্ভব রান্না করে ফেলতে হবে অথবা প্যাকেট করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। খাদ্য বিশেষ করে মাছ-মাংস-দুধ ভালোভাবে সেদ্ধ বা রান্না করা না হলে এগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাছ-মাংস থেকে শাকসবজি ও ফলমূল আলাদা শেলফে রাখতে হবে। একসঙ্গে রাখলে এক খাবারের জীবাণু আরেক খাবারে ছড়াতে পারে। ম্যারিনেট করা মাছ-মাংস খোলা না রেখে ঢেকে রাখতে হবে অথবা ফ্রিজে উঠিয়ে রাখতে হবে। তাজা ফল কেটে বেশিক্ষণ রেখে দিলে পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাই সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়া উত্তম। রান্না করা খাবার দীর্ঘ সময় রাখতে চাইলে অবশ্যই রেফ্রিজারেটরে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। পচনশীল খাবার নির্ধারিত তারিখের পরে খাওয়া যাবে না। রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা খাবার অবশ্যই ভালো করে গরম করে খেতে হবে। খাবার স্পর্শ এবং প্রস্তুত করার আগে, টয়লেট থেকে ফিরে, মাছ-মাংস ধোয়ার পরে, পোষা প্রাণীকে ধরার পর বা ময়লা ফেলার পর সঠিক নিয়মে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। রান্নাঘর, রেফ্রিজারেটর, পানির ফিল্টার, ব্যবহার্য ন্যাপকিন এবং খাদ্য প্রস্তুত করার সরঞ্জাম কাজ শেষে নিয়মিত অবশ্যই গরম পানি বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর